জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শেখ হাসিনা নির্বিচারে মানুষকে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বগুড়া শহরের সাতমাথা মুক্তমঞ্চে জেলা নাগরিক ঐক্যের গণ-সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শেখ হাসিনা ৩ আগস্ট গুলি চলাতে সেনাপ্রধানকে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বিমানবাহিনী প্রধানকে বলেছিলেন, যত হেলিকপ্টার লাগে নামাও, ভয় দেখাও। কিন্তু সেনা ও বিমানবাহিনী প্রধান তখন বলেছিলেন সম্ভব নয় ম্যাডাম। কারণ একজন মারা গেলে শত শত ছাত্র-জনতা এগিয়ে আসে।
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলোতে ভোট চুরি হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের নির্বাচন, বিচার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আয়না ঘর বানিয়ে মানুষের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রামের পর ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করতে পেরেছি। হাসিনার পতনের আন্দোলনে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি।
মান্না বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না। আমরা নতুন দেশ গড়বো। যেখানে থাকবে না সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজি।
এস এইচ/
Discussion about this post