শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১১৫টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০৭টি কারখানা বন্ধ রয়েছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে। বন্ধ বাকি ৮টি কারখানা গাজীপুরের।
আজ বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর মধ্যে ৭৫টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে। ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ অর্থাৎ কাজ নেই তো মজুরিও নেই ধারায় বন্ধ হওয়া কারখানাগুলো যত দিন বন্ধ থাকবে ততদিনের মজুরি পাবেন না শ্রমিকরা।
পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকের তুলনায় পুরুষ বেশি নিয়োগ দিতে হবে। প্রধান এ দাবিসহ আরও কিছু দাবিতে দুই সপ্তাহজুড়ে অসন্তোষ চলছে পোশাক কারখানা বেশি রয়েছে এমন শিল্পাঞ্চলগুলোতে। সাধারণত পোশাক কারখানায় পুরুষের তুলনায় নারী শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। তবে গত কয়েক বছরে নারী শ্রমিকের হার অনেক কমেছে।
গবেষণা সংস্থা ম্যাপড ইন বাংলাদেশ- এমআইবির পরিসংখ্যান বলছে, পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের হার এখন ৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এক সময় এ হার প্রায় ৮০ শতাংশ ছিল।
বর্তমানে আশুলিয়া ও গাজীপুর ছাড়া দেশের আর কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি । নিয়মিত রপ্তানি কার্যক্রমে রয়েছে দেশে এ ধরনের পোশাক কারখানা আছে দুই হাজার ১৪৪টি। অর্থাৎ বাকি দুই হাজার ২৯টি কারখানা খোলা রয়েছে।
শ্রমআইন অনুযায়ী, মজুরিকাল শেষ হওয়ার পর পরবর্তী মাসের প্রথম সাত কর্মদিবসের মধ্যে মজুরি পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু জানা গেছে, আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ হয়েছে ৭৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ কারখানায়। মোট এক হাজার ৫৯৫টি কারখানা মজুরি পরিশোধ করেছে। এখনও বাকি ২৫ দশমিক ৬১ শতাংশ কারখানা অর্থাৎ, ৫৪৯ কারখানায় আগস্ট মাসের মজুরি পরিশোধ হয়নি।
এ ইউ/
Discussion about this post