গত ৪ আগস্টের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের অধিকাংশ ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়েছিল বলে পুলিশের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার এই ধরনের আক্রমণের শিকারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে ধর্মীয় আক্রমণের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করে এবং পুলিশকে অপরাধীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু বুদ্ধিস্ট খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করেছে, দেশে ১,৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক আক্রমণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ১,৭৬৯টি অভিযোগের মধ্যে ৬২টি ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, অধিকাংশ আক্রমণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়েছে, ধর্মীয় নয়। পুলিশ ১,২৩৪টি রাজনৈতিক ঘটনা এবং ২০টি সাম্প্রদায়িক ঘটনা সনাক্ত করেছে। এছাড়া ১৬১টি অভিযোগ মিথ্যা বা অপ্রমাণিত পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকাংশ আক্রমণ ৫ আগস্টে ঘটেছে। ৪ আগস্ট ৬৫টি ঘটনা এবং ৬ আগস্ট ৭০টি ঘটনা ঘটে। পুলিশ এছাড়া, ৫ আগস্ট থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৪টি ধর্মীয় সহিংসতার অভিযোগ পেয়েছে, যার মধ্যে ৫৩টি মামলার মাধ্যমে ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া, পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে ধর্মীয় সহিংসতার অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করা হয়েছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে অভিযোগের সাথে দ্রুত সাড়া দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, তার সব অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করতে কাজ করছে।
এস এইচ/
Discussion about this post