শাক-সবজির বাজারে আগুন আর আমিষ অর্থাৎ মাছ-মাংস কোনোটিরই দাম ক্রেতাদের নাগালে নেই। নিত্যপণ্যের এই বাড়তি দামের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, মধ্যবিত্তরাও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
নানাভাবে ব্যয় কাটছাঁট করেও সাধারণ মানুষ পেরে উঠছেন না। কারণ, জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও সেভাবে আয় বাড়েনি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এখনো বাজার অস্থির। যদিও গত দু-তিন দিনের ব্যবধানে ডিমসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে, তবে সার্বিকভাবে এর প্রভাব বাজারে পড়েনি।
বিক্রেতারা জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ এখনো কম। গত কয়েক মাসে দেশে বন্যা-বৃষ্টির কারণে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে সবজির দাম শিগগিরই কমছে না।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
আগের সপ্তাহের তুলনায় কয়েকটি সবজির দাম কমলেও বাজারে এখনো বেশির ভাগ শাক-সবজির দাম চড়া। গত সপ্তাহের তুলনায় বেগুনের দাম কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে ১৪০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স, পটোল, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙে ১০০-১২০ টাকায়; কাঁকরোল ১১০-১২০ টাকায়; করলা ও বরবটি ১২০-১৪০ টাকায়; মিষ্টিকুমড়া ও দেশি শসা ৮০-১০০ টাকায় এবং পেঁপে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি শিমের কেজি ৪৮০-৫০০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ছোট আকারের বাঁধাকপি ৮০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা ও মুলা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৩০ থেকে ৬০ টাকা। ধনে পাতার কেজি ৬০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৮০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৮০ টাকা। বাজারে মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ১০ টাকা বেড়ে ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০-৫৫০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩৩০ টাকা ও সাদা লেয়ার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা ও কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ইউ/
Discussion about this post