জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে সৌদি আরব। তাই কেবল তেল নয়, সব ধরনের জ্বালানির দিকে মনোযোগ দিয়েছে দেশটি।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী যুবরাজ আবদুল আজিজ বিন সালমান এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন। রয়টার্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্স অনুসারে, বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি ডিসেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে রূপান্তর করতে একটি চুক্তিকে সমর্থন করেছিল।
কিন্তু সৌদি নেতৃত্বাধীন তেল উৎপাদক গোষ্ঠী অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) প্রায় ১০০টি দেশের একটি গ্রুপের বিরোধিতা করেছিল, যারা চূড়ান্ত চুক্তিতে তেল, গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার ‘পর্যায়ক্রমে’ বন্ধে শক্তিশালী ভাষা ব্যবহারের জন্য প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল। সৌদি আরব বলেছিল, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার তার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আব্দুল আজিজ রিয়াদে খনিসংক্রান্ত একটি সম্মেলনে বলেছেন, ‘মানুষ এখনো জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তবে এই জীবাশ্ম জ্বালানিগুলো হ্রাসের জন্য কাজ করতে আমাদের মতো এবং আমাদের প্রত্যেককে আহ্বান জানানো উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশ হিসেবে আমাদেরকে আর তেল উৎপাদনকারী দেশ বলা হয় না; আমরা সব ধরনের জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত হতে চাই।’
নবায়নযোগ্য, সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন এবং কার্বন নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত সৌদির রূপান্তর পরিকল্পনার উদ্ধৃতি দিয়ে আব্দুল আজিজ বলেছেন, তাঁর দেশ বিশ্বব্যাপী সব ধরনের জ্বালানির একটি শীর্ষস্থানীয় সরবরাহকারী হওয়ার লক্ষ্য রাখে।
সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘আপনি (সৌদির কাছে) সবুজ হাইড্রোজেন চান, আপনি এটি পাবেন, আপনি পরিষ্কার হাইড্রোজেন চান, আপনি সেটি পাবেন, আপনি সবুজ বিদ্যুৎ চান, আপনি সেটিও পাবেন।’
রয়টার্স বলেছে, ওপেক বিশ্বের প্রমাণিত তেলের রিজার্ভের প্রায় ৮০ শতাংশের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী তেল উৎপাদনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের সরকারগুলো সেই রাজস্বের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল।
এফএস/
Discussion about this post