চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ‘সমকামী’ দুই মেয়েকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ আলম।
পুলিশ জানায়, মেয়ে দুটি দুই ধর্মের অনুসারী। এদের মধ্যে একজনের বয়স ১৯, অপরজনের ১৭। সনাতন ধর্মের অনুসারী কিশোরীর বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। আর মুসলিম তরুণীর বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। টিকটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরবর্তীতে অস্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তারা দাবি করেন, এরইমধ্যে তারা বিয়েও করেছেন। গোপালগঞ্জের ওই কিশোরী চাঁদপুরে তরুণীর বাড়িতে চলে আসে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, পরিবারের কাছে তাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেজন্য পরিবারের লোকজনদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে, দুই কিশোরীকে সমকামিতার অভিযোগে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছিলেন অভিভাবকরা। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে তাদের চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্র ও কিশোরীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উভয়ের টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরই মাঝে একে অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়া ও মনের ভাব বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে কয়েকদিন আগে এক কিশোরী গোপালগঞ্জে অপর কিশোরীর কাছে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সে অপরজনকে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।
ওই দুই কিশোরী জানায়, আমরা আবেগে নয়, মন থেকেই একে অপরের প্রতি ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা ও অবশেষে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়েছি। তবে তারা বিবাহ বন্ধনের কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি। ঘটনা প্রকাশের পর এক কিশোরীর পরিবার শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুজনকেই ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এস এইচ/
Discussion about this post