বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জাতীয় নেতারা আছেন। তারা সবাই বলেছেন, এ সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলের যেমন সমর্থন রয়েছে, তেমনি জনগণের বিপুল সমর্থন রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশাল সমর্থন আছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে বের হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সাইফুল হক বলেন, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়ভিত্তিক কোনো আলোচনা হবে না। বলতে পারেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এটি উদ্বোধন। যেটা আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছয়টা কমিশন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ তৈরি করেছেন একটা রাষ্ট্র, সরকার, সংবিধানের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য। এ সুপারিশের কপি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। জোটগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলবেন, এমনকি অনানুষ্ঠানিকভাবেও কথা বলবেন।
নির্বাচনসহ পরবর্তী গণতান্ত্রিক উত্তরণের ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত আসতে পারবো মন্তব্য করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, চরিত্রের দিক থেকে সরকার হচ্ছে দল নিরপেক্ষ একটি অন্তর্বর্তী সরকার। বিশেষ কোন দল, মতাদর্শের প্রতি সরকারের পক্ষপাত থাকার কথা নয়। সুতরাং সরকার নিরপেক্ষ চরিত্র, বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রাখবে এবং রাজনৈতিক দল, গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন সবাইকে আস্থায় নিয়ে, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা বুঝাপড়ায় আসতে পারব।
বৈষম্য বিলোপের ব্যাপারে কোন কমিশন হয়নি উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, দূর্বৃত্তের রাজনীতি এবং অর্থনীতি যদি বহাল থাকে তাহলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই নাও হতে পারে। আমরা বলেছি, এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি, বৈষম্যের ব্যাপারে যদি কোন কমিশন করা যায় তাহলে আমরা সেটি ইতিবাচক ভাবে নিব।
তিনি বলেন, আমরা ঐকমত্য হতে পারব সেই ভিত্তিতে প্রফেসর আলী রিয়াজ চেষ্টা করবেন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করার। জাতীয় সনদের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে জাতীয় নির্বাচন বা সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে আলোচনা হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আরেকটা বিষয় প্রফেসর ইউনূস পরিষ্কার করে বলেছেন আজ, ভারত তাদের বাংলাদেশবিরোধী নীতিকে একটা বিপর্যয়ে ফেলেছে। সর্বশেষ ট্রাম্পের কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দৌড়ঝাঁপ করেছেন। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে তার কোনো নালিশ ট্রাম্প প্রশাসন আমলে নেয়নি।
এম এইচ/
Discussion about this post