গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। একইভাবে সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে নিজের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
সেখানে বলা হয়েছে, এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের বিদ্যমান মাসিক পারিতোষিক ভাতার হার ২৫ হাজার টাকা থেকে ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হল। ভাতার এই হার মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
সারজিস আলম বলেছেন, দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের ভাতা মাত্র ৩০ হাজার টাকা কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। তিনি দাবি করে বলেছেন, এটা অন্তত ৪০ হাজার অথবা ৯ম গ্রেড সমমান হওয়া উচিত।
এই ছাত্রনেতা বলেন, কোথায় কখন কতটুকু ইনভেস্ট করতে হবে সেটা যতদিন আমরা না বুঝবো ততদিন দেশের প্রত্যাশিত উন্নতি সম্ভব না। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করছি।
পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা ২৫ হাজার ভাতা পান, সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার করার দাবিতে আন্দোলন
শুরু হয় চলতি সপ্তাহে। সেই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে জাতীয় নাগরিক কমিটিও। পরে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিক ভাতার হার ৫ হাজা টাকা বাড়িয়ে সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থবিভাগ।
এদিকে, ভাতা বাড়ানোর দাবিতে গত রোববার প্রথমে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেন চিকিৎসকরা। দুপুরের পর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করলে সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেলে সারজিস আলম আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে রাস্তা ছাড়েন চিকিৎসকরা। তবে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করছিলেন তারা।
তবে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি পাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করেছেন চিকিৎসকরা।
এস এইচ/
Discussion about this post