পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)।
তবে পিটিআই দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় সরকার গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছেন নওয়াজ শরিফ। এ জন্য তিনি তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে গতকাল শুক্রবার রাতেই বৈঠক করেছেন।
এরআগে, সন্ধ্যায় পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্রদের চেয়ে পিছিয়ে থেকেও বিজয় ভাষণ দেন নওয়াজ। লাহোরে পিএমএল-এনের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে দেওয়া বিজয় ভাষণে তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পিএমএল-এন সবচেয়ে বড় দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। পিএমএল-এন পাকিস্তানকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে দাবি করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতেও তার দল দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাবে।
তবে ভাষণে পিএমএল-এন নেতা স্বীকার করেন সরকার গঠনের জন্য তার দল প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। জোট সরকার গঠনের জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে খুব শিগগিরই আলোচনা শুরু করবেন বলেও জানান তিনি।
এররপরই খবর আসে পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন নওয়াজ শরিফ। পিপিপির সূত্রের বরাত দিয়ে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, লাহোর দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠক হয়েছে।
তবে বৈঠকে আর কারা উপস্থিত ছিলেন বা কী আলোচনা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
২০২২ সালে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পিপিপি ও পিএমএল-এন একসঙ্গে জোট করেছিল।
আল জাজিরার তথ্য বলছে, ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২১৯টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৮৪টি আসন। আর নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ-এন (পিএমএলএন) জয় পেয়েছে ৬৫টি আসনে। বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৪২টি আসন। এছাড়া অন্যান্য দল এবং স্বতন্ত্ররা পেয়েছে ২৮টি আসন।
এ জেড কে/
Discussion about this post