শোবিজের পাশাপাশি একটা সময় রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। পরিচিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জ্যোতিকে এখন আওয়ামীপন্থি শিল্পী হিসেবেই চেনে সবাই।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর আইরিন পারভীন লোপা জানান, আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা পর অফিসে প্রবেশ করেন জ্যোতি। জ্যোতি শিল্পকলা একাডেমিতে যাওয়ার পরই বাইরে বিভিন্ন বিভাগের সহকর্মীদের জড়ো হতে দেখে অফিস রুমের দরজা বন্ধ করে দেন তিনি।
আইরিন পারভীন লোপা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি (জ্যোতিকা জ্যোতি) অফিসে আসায় আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি কীভাবে অফিসে আসেন, যিনি স্বৈরাচার সরকারের হয়ে কথা বলেছেন। যারা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে উৎসাহিত করেছেন, যারা রক্ত ঝরার জন্য দায়ী, তাদের আমরা সহকর্মী হিসেবে চাই না।’
বহুল আলোচিত ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্য ছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। এ তথ্য উল্লেখ করে আইরিন পারভীন বলেন, “আমরা তাকে অফিস থেকে চলে যেতে বলেছি। কারণ তিনি ‘আলো আসবেই’ নামে একটি গ্রুপে যুক্ত হয়ে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। এমন লোক আমরা দেখতে চাই না।”
অফিসে জ্যোতিকা জ্যোতির ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিল। চলে আসার সময়ে সেসব জিনিস নিয়ে আসেন। কিন্তু উপস্থিত সহকর্মীদের সেসব জিনিসপত্র দেখিয়ে তারপর শিল্পকলা একাডেমি থেকে বের হন জ্যোতি।
এ বিষয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘লবি থেকে আমি আবার আমার অফিস রুমে ফিরে যাই। আমার জিনিসপত্র (মায়ের ছবি, কসমেটিকস) গোছাই। ওই সময়ে আমার জেদ হয়, আমার চাকরি থাকার পরও আমি কেন অফিস ছাড়ব! এরই মধ্যে অনেকে আমার দরজার সামনে জড়ো হয়। তখন আমার সঙ্গে সচিব স্যার ছিলেন। এরপর বের হওয়ার সময়ে আমার জিনিসপত্র দেখিয়ে আমি বের হয়ে আসি।’
এস আই/
Discussion about this post