আর্চারে বাছাই পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশি রবিউল ইসলাম। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি। ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে ৪.৬৯ সেকেন্ডের জন্য সেমিফাইনাল মিস করেছেন তিনি। এতে ৭৯ জনের মধ্যে ৬৯তম হয়ে অলিম্পিক শেষ করেছেন এই ক্রীড়াবিদ।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সাঁতারের ভেন্যু লা ডিফেন্স অ্যারেনায় ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে প্রথম হিটে ৫৩.৮৫ টাইমিংয়ে প্রথম হয়েছিলেন সামিউল। কিন্তু দ্বিতীয় হিটে তার টাইমিং ৫২.২২। এতে ৫৩.১০ সেকেন্ড টাইমিংয়ে দ্বিতীয় হিটে আট জনের মধ্যে পঞ্চম হয়েছেন।
তবে সব মিলিয়ে ১০টি হিট শেষে ৭৯ জনের মধ্যে ৬৯তম হয়ে বিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশে এই সাঁতারু। সময়ের হিসেবে শীর্ষ ১৬ জন উঠেছেন সেমিফাইনালে। ৪৭.৫৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে হিটে প্রথম হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাক অ্যালেক্সি। ১৬তম হয়ে সেমিফাইনালে ওঠা দক্ষিণ কোরিয়ার সুন–উ হোয়াং সময় নিয়েছেন ৪৮.৪১ সেকেন্ড।
ডোপ টেস্ট ও সামান্য কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে কয়েক মিনিটের মধ্যে মিক্সড জোনে পাওয়া গেল বাংলাদেশি সাঁতারুকে। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বাসই প্রকাশ করলেন সামিউল, সেরা টাইমিং হয়েছে এতে ভালো লাগছে। নিজের টাইমিং ভালো করার চেষ্টা ছিল সেটা পেরেছি।
১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে তার সেরা টাইমিং ছিল ৫৩.১২ সেকেন্ড। প্যারিস অলিম্পিকে মাত্র ০.০২ সেকেন্ড কমিয়ে ৫৩.১০ করেছেন। নিজের সেরা টাইমিং হলেও আন্তর্জাতিক মানদন্ডে অনেক পিছিয়ে সেটাও স্বীকার করেছেন তিনি।
সামিউল বলেন, আসলে এই ইভেন্টে সেমিফাইনালে খেলা সাঁতারুদের টাইমিং থাকে ৪৭-৪৮ সেকেন্ডের মধ্যে। আমরা বেশ পিছিয়ে। আমি নিজের সেরা টাইমিং করলেও ইচ্ছে ছিল ৫২’র (৫২ সেকেন্ড) মধ্যে প্রবেশ করা।
অলিম্পিকে বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ শুধুই অভিজ্ঞতা অর্জনেই সীমাবদ্ধ। অন্য ক্রীড়াবিদের মতো সামিউলও সেটা বললেন, ‘অলিম্পিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় গেমস। এখানে অংশগ্রহণে অনেক কিছু শেখা যায়। এখানের অভিজ্ঞতা সাফ গেমস ও অন্য খেলায় কাজে আসবে। টাইমিংয়ে আরও উন্নতি করতে পারলে সাফ গেমসে পদক আসবে।’
এ এ/
Discussion about this post