ব্যাট হাতে ঝড় তোলার পর, দারুণ বোলিংয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের এমন কার্যকরী অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে হংকং সিক্সেসে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
কোয়ার্টার ফাইনালে শনিবার (২ নভেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ডি/এল ম্যাথডে ১৮ রানে হারিয়েছে লাল সবুজরা।
৬ ক্রিকেটার নিয়ে ৬ ওভারের টুর্নামেন্ট, হংকং সিক্সেস। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও এ টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের দল।
ওমানকে হারিয়ে আসরে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। কিন্তু ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের পরের ম্যাচে হেরে যায় শ্রীলঙ্কার কাছে। তাতে অবশ্য খুব একটা সমস্যা হয়নি। গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে ইয়াসির রাব্বির দল। শেষ আটের ম্যাচে সাইফউদ্দিনের অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে নিশ্চিত করে সেমিফাইনাল।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন জিসান আলম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে গিয়ে ভাঙে দুজনের ৫৯ রানের জুটি। ১১ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারের মারে ৩১ রান করেন মামুন।
এরপর ক্রিজে নেমে রীতিমতো ঝড় তোলেন সাইফউদ্দিন। ৯ বল মোকাবিলায় ৫ ছক্কা ও ১ চারের মারে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৭ বলে ৩ ছক্কা ও ৩ চারের মারে ৩৪ রানে অপরাজি থাকেন জিসান। নির্ধারিত ৬ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১১১ রান করে বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই সাইফদ্দিনের তোপের মুখে পড়ে আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। ইনিংস শুরুর দ্বিতীয় বলেই আসিফ খানকে বোল্ড করেন টাইগার পেসার। একই ওভারে নিজের শেষ বলে মুহাম্মাদ জুহাইবকে লেগ বিফোর উইকেট বানিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট এনে দেন সাইফউদ্দিন। ওভারে তার খরচ মাত্র ৬ রান। এরপর আবু হায়দার রনি বোলিংয়ে এসে খরচ করেন মাত্র ৭ রান।
তৃতীয় ওভারে এসে শাঞ্চিত শর্মার তোপের মুখে পড়েন মামুন। তিনি টানা ৪টি ছক্কা মারেন বাংলাদেশের এই পেসারকে। অবশ্য পঞ্চম বলেই তাকে আবু হায়দারের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মামুন। ৩.২ ওভার শেষে আরব আমিরাতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৪৩ রান। এরপর আলোক স্বল্পতার কারণে আর খেলা হয়নি। ফলে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচ জিতে সেমি ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রোববার (৩ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
এম এইচ/
Discussion about this post