অন্তর্বর্তী সরকারের দেড় মাসে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কয়েকটি মামলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কটূক্তি করার অভিযোগেও মামলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘আমরাতো বলেছি যে নিবর্তনমূলক যে আইনগুলো আছে, যেগুলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেবে, সেগুলো আমরা বাতিল অথবা সংশোধন করব। এই আইনগুলো সেই প্রক্রিয়াধীন আছে, পর্যালোচনায় আছে। যে মামলাগুলো হচ্ছে আমরা আইন মন্ত্রণালয়কে বলেছি সেই মামলাগুলোয় যাতে পদক্ষেপ না নেয়া হয়। গ্রেপ্তার করা না হয়। যেহেতু আইনটি পর্যালোচনার মধ্যে আছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা মামলা করেছেন তাদের আমরা চিনি না। আমরা নিরুৎসাহিত করছি। একটি মামলা তো ধর্ম অবমাননার কথা বলে করা হয়েছে। আমাদের নামগুলো সাথে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এই মামলাগুলো আমাদের বিব্রত করতে করা হচ্ছে কি না এটাও আসলে আমাদের একটু দেখতে হবে।
এ ধরনের মামলাগুলো বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে আইনের দরকার আছে। কিন্তু এই হয়রানিমূলক আইন চলতে পারে না। আমরা শুরু থেকেই তাই এর বিরোধিতা করেছি। এখনো এই আইনের অপব্যবহার অগ্রণযোগ্য।
তার কথা, আইনটি পরিবর্তন বা বাতিলের আগে সরকার চাইলে প্রশাসনিক নির্দেশ দিয়ে এই আইনে মামলা নেওয়া বা এর অপব্যবহার বন্ধ করতে পারে।
এম এইচ/
Discussion about this post