ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় বিমান হামলায় নিহত সাত ত্রাণকর্মীর মৃত্যুর জন্য ‘আন্তরিক দুঃখ’ প্রকাশ করেছে। তবে এই হামলার দায় স্বীকার করতে নারাজ ইসরায়েল। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। সোমবার (১ এপ্রিল) গাজা উপত্যকার দেইর এল-বালাহ এলাকায় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ত্রাণসহায়তা হিসেবে খাবার বিতরণের পর ফেরার পথে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় সাতজন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডএম ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ঘটনাটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট মেকানিজম’-এ তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, তিনি ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) প্রতিষ্ঠাতা, শেফ জোসে আন্দ্রেসের সাথে কথা বলেছেন এবং তার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘যারা প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য অনেক কিছু করছে এবং সাহায্য চালিয়ে যাচ্ছে আমরা আমাদের সেসব মিত্র দেশগুলোর প্রতিও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।’ ডব্লিউসিকে সমুদ্রপথে আনা প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা সরবরাহ করছিল। ডব্লিউসিকে এবং গাজার হামাস পরিচালিত মিডিয়া অফিস হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে।
সাত কর্মী নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম স্থগিত করেছে মার্কিন দাতব্য সংসথা ডব্লিউসিকে। ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা আরেকটি মার্কিন এনজিও আমেরিকান নিয়ার ইস্ট রিফিউজি এইডও (আনেরা) গাজায় তাদের কার্যক্রম স্থগিত করছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) বলেছে, তারা এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করছে। অনেক পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং মন্ত্রী এই হামলার একটি ব্যাখ্যা দাবি করেছেন। ডব্লিউসিকে বলেছে, নিহতরা যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, ফিলিস্তিন এবং মার্কিন-কানাডার দ্বৈত নাগরিক ছিলেন।
এ এস/
Discussion about this post