সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের কোনো বিরোধ নেই উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, “সাধারণ শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান সমতুল্য। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে পুলিশ সংবেদনশীল।”
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, “পুলিশের টার্গেট যারা নাশকতাকারী, যারা মেট্রোরেল, সেতু ভবন, টোল প্লাজা ও বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি পুড়িয়েছে। আমাদের শত্রু জামায়াত-শিবির চক্র এবং বিএনপির সন্ত্রাসীরা। তাদের ধরার জন্য ভিডিও ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দেখে কাজ করছি।”
অভিযোগ আছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, “ব্লক রেইড পরিচালনার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী এবং নিরপরাধ কাউকে ধরার সুযোগ নেই। ডিএমপি কমিশনারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ব্লক রেইডে ডিএমপির সিনিয়র অফিসারদের মোতায়েন করা হয়েছে। যেন ব্লক রেইডে কোনো ধরনের আইনের ব্যত্যয় না ঘটে, নিরপরাধ মানুষ যেন বিন্দুমাত্র পুলিশের দ্বারা হয়রানির শিকার না হয়। এরপরও যদি কোনো ব্যত্যয় হয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তবে অপরাধী যে, তাকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।”
বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে পুলিশ নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে পুলিশ বিব্রত কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি ঘটনার পূর্বাপর বিচার করতে হবে। আমাদের সদস্য যদি গুলি করে থাকে, কোন প্রেক্ষাপটে গুলি করেছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। যেসব ঘটনায় মামলা হয়েছে প্রত্যেকটি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করা হবে।”
কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়া গেলে শুধু প্রত্যাহার নয়, সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ডিএমপির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “গত কয়েক দিনে ঢাকা শহরে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনায় ডিএমপির ৫০টি থানায় ২৬৪টি মামলা হয়েছে। আরও চার-পাঁচটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। এসব মামলায় ২,৮৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ডে আনা হয়েছে অসংখ্য আসামিকে। রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য পেয়েছি, সেসব তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি।”
২৬৪ মামলার ভেতরে নিহতের ঘটনায় কোনও মামলা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ঢাকায় বিভিন্ন থানায় ৫৩টি হত্যা মামলা হয়েছে। এর মধ্যে নিহতের পরিবার বাদী হয়েছে এবং কিছু মামলার রাষ্ট্রের পক্ষে পুলিশ বাদী হয়েছে।”
টিবি
Discussion about this post