জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে রেফারি ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল অংশগ্রহণ করবে।
দেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল রেফারি অ্যাওয়ার্ড পান (এএফসি রেফারিজ মোমেন্তো অ্যাওয়ার্ড) তৈয়ব হাসান। এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় থাকা তৈয়ব প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান রেফারি হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে (নেপাল-২০১৩) প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন।
রেফারি হিসেবে তিনি জাপান, কোরিয়া (উত্তর ও দক্ষিণ), অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, ইরাক, জর্ডান, ওমান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাউস, মঙ্গোলিয়া, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন রেফারি হিসাবে সর্বাধিকবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
২০১৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যে জার্সিটি পরে তৈয়ব প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, স্মরণীয় সেই জার্সিটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করে করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে দান করেছিলেন।
সাতক্ষীরার এই রেফারি করোনা মহামারিতে এমন মহৎ কাজের জন্য দেশে বিদেশে প্রশংসিত হন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও তাকে অভিনন্দন জানিয়ে পত্র প্রেরণ করেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পদক-জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত হন। পুরস্কারের এক লাখ টাকা তিনি স্থানীয় দুস্থ-পুষ্টিহীন শিশুদের কল্যাণে দান করেন।
রেফারিংয়ে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সোনালী অতীত ক্লাবসহ (ঢাকা) বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে দেশসেরা বরেণ্য রেফারি হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।
এফএস/
Discussion about this post