খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের পিপলস গোল চত্বর এলাকায় বিএনপির সুধী সমাবেশে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জন। তাদের সবাইকে খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের উপস্থিতিতেই দুই গ্রুপের এ সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চারজনকে বহিষ্কার করেছে মহানগর বিএনপি।
আহতদের মধ্যে ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন (৫৩), ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরুজ্জামান (৩০), বিএনপি সদস্য শহিদ, ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তুহিন (২৭), ১১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন মোল্লা (৩৩), ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম (৪২), ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম (২৯), যুবদলের সদস্য দিদার বিশ্বাস (৩৫) ও সোহেলকে (৩০) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, খালিশপুর পিপলস গোল চত্বরে সুধী সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর বিএনপি। সমাবেশের সামনের চেয়ারে বসা ও মঞ্চে ওঠা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপ তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ অন্য নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
খালিশপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব বিশ্বাস ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, মঞ্চে ওঠা নিয়ে কিছুটা হাতাহাতি হয়েছে। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে তাদেরকে দেখে এসেছেন।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “হাতাহাতির ঘটনা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনও কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।”
এদিকে, মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিল্টন জানান, মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন ৮ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সুধী সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খালিশপুর থানাধীন ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন বাবু, মাসুদ হোসেন ও ফকির শহিদুল ইসলামকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। চারজনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এম এইচ/
Discussion about this post