রাজধানীর ভাষানটেক কালভার্ট রোডে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ এক পরিবারের ৬ সদস্যই মারা গেলেন। সবশেষ শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ওয়ার্ডে মারা যান লিজা (১৮) নামে এক কিশোরী। এরআগে তার বাবা, মা, ভাই, বোন ও নানীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় একে একে প্রাণ গেল পরিবারটি ছয়জনেরই।
ঈদের পরদিন ১২ এপ্রিল ভোরে পশ্চিম ভাসানটেক এলাকায় একটি দুই তলা বাড়ির নিচ তলায় আগুনে দগ্ধ হন এই ছয় জন।
তারা হলেন: লিটন চৌধুরী ও সুর্যবানু দম্পতি এবং তাদের তিন সন্তান ১৮ বছর বয়সী লিজা, ৯ বছর বয়সী সুজন, ৭ বছর বয়সী লামিয়া এবং সূর্যবানুর মা মেহেরুন্নেছা। তাদের পাঁচ জন মারা গেছেন আগেই।
আসবাবপত্র ব্যবসায়ী লিটন চৌধুরীর ছেলে-মেয়েরা সবাই পড়ালেখা করত।
পুলিশ ধারণা করছে, জমে থাকা গ্যাসই আগুন লাগার কারণ।
শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় লিজার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে মারা যান বাকি পাঁচ জন।
ভাসানটেক থানার এসআই নাঈমুল ইসলাম হৃদয় জানিয়েছিলেন, বাড়িটিতে রান্নার জন্য ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে ছিল। পাইপ দিয়ে সেই গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয় চুলায়।
“বাসার দরজাটি লোহার। গ্যাসের পাইপটি লোহার দরজার ফোকর দিয়ে ঘরে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করছি, লোহার দরজায় পাইপ কেটে যাওয়ায় গ্যাস ঘরে জমা হয়। ভোরে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সবাই দগ্ধ হয়”, বলেন তিনি।
টিবি
Discussion about this post