কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর নতুন উত্তেজনার জন্য পাকিস্তানি সেনাদের দায়ী করেছে।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণা ঘাঁটি এলাকায় প্রবেশ করেছে।
আজ বুধবার সেনাবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বরটওয়াল বলেন, ‘নিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খলভাবে এর কার্যকর জবাব দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘১ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশের কারণে কৃষ্ণা ঘাঁটি সেক্টরে একটি মাইন বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে।’
আরো বলা হয়েছে, এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি বজায় রাখার জন্য দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান সামরিক সমঝোতার নীতিগুলো বজায় রাখার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে।
২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনর্ণবীকরণ করার পর থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনা বিশেষ ঘটেনি। ওই সময় উভয় পক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা সহিংসতার দিকে পরিচালিত করতে পারে এমন উদ্বেগগুলো সমাধান করতেও সম্মত হন।
এরপর কাশ্মীর সীমান্তে আর বড় ধরনের সংঘাত ঘটেনি। তবে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নানা ধরনের হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই আইইডি বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন দুই সেনা সদস্য এবং আহত হয়েছেন একজন। তল্লাশি অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারও হয়েছে। এরও আগে গত ৪-৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে কৃষ্ণ ঘাঁটি সেক্টর হয়ে পুঞ্চে ঢোকার চেষ্টা করছিল সাত পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী।
ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে বলে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল নবীন সাচদেব জানিয়েছেন, সম্প্রতি নিয়ন্ত্রণ রেখাসংলগ্ন জেলাগুলোতে সন্দেহজনক কাজকর্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলাকাগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এস এইচ/
Discussion about this post