সংঘাতের কারণে সুদানে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা শিগগির এক কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। আজ শুক্রবার জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম এ আশঙ্কার কথা জানায়। পাশাপাশি এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির সংকট হিসেবে অভিহিত করেছে সংস্থাটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাজধানী খার্তুমে সংঘাতের শুরু হয় এবং দ্রুত তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে পুনরায় জাতিগত রক্তপাত শুরু হয় এবং লাখ লাখ লোক পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার সুদান মিশনের প্রধান মোহাম্মদ রেফাত বলেন, ‘সুদানবাসীকে আর কত দুর্ভোগ ও প্রাণহানি সহ্য করতে হবে বিশ্ববাসীর নজরে আসার জন্য? বিশ্বের মোড়লদের পক্ষ থেকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ১০ মিলিয়ন (এক কোটি) মানুষের বাস্তুচ্যুতি কি যথেষ্ঠ নয়?’
তিনি বলেন, ‘এই মানুষেরা প্রত্যেকেই গভীর মানবিক ট্র্যাজেডির প্রতিনিধিত্ব করে এবং এদের প্রতি জরুরি ভিত্তিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
এই সপ্তাহে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম সুদানজুড়ে প্রায় ৯৯ লাখ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকের সংখ্যা রেকর্ড করেছে। আইওএম এর তথ্য অনুসারে, যুদ্ধের আগে, ইতিমধ্যেই ২৮ লাখ সুদানি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। মোট, প্রায় এককোটি ২০ লাখ সুদানি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখের বেশি মানুষ মিসর, চাঁদসহ প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
রেফাত জানান, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এসব সুদানিদের অর্ধেকেরও বেশি মহিলা এবং এর মধ্যে এক–চতুর্থাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু রয়েছে। ত্রাণ সরবরাহকারী সংস্থাগুলো ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে।
রেফাত বলেন, ‘পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে আশ্রয়, খাদ্য এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সুদানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে বাস্তুচ্যুতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে।’ এর আগে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো সতর্ক করেছিল যে, সুদান দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে। সুদানে প্রায় এককোটি ৮০ লাখ মানুষ তীব্রভাবে ক্ষুধার্ত। এর মধ্যে প্রায় ৩৬ লাখ শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে।
এ এস/
Discussion about this post