প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব, এগিয়ে যাচ্ছে মরুময় সৌদি আরবে। অত্যাধুনিক সব সুযোগ সুবিধার দেখা মিলছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটিতে। ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে এমন কোন উদ্যোগ নেই যা নিচ্ছেন না সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান। তারা সৌদির আকাশে এবার ফ্লাইং বা উড়ন্ত ট্যাক্সি নামাবে।
প্রত্যাশা অনুযায়ী- ২০২৬ সালের মধ্যেই সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ এবং বন্দরনগরী জেদ্দার আকাশে উড়ন্ত ট্যাক্সির চলাচল শুরু হবে। শুক্রবার সৌদি গণমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে এমনিটিই বলা হয়েছে। এই লক্ষ্যে বৈদ্যুতিক উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে কাজ করা ব্রাজিলভিত্তিক সংস্থা ‘ইভিই এয়ার মোবিলিটি’র সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে সৌদি আরবের মধ্যবিত্তের বিমান সংস্থা হিসেবে পরিচিত ‘ফ্লাইনাস’।
চুক্তি সম্পাদনের পর এ ব্যাপারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ফ্লাইনাস-এর সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক বন্দর আলমোহান্না। তিনি উল্লেখ করেছেন, এই অংশীদারত্ব ২০৬০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন থামাতে জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে উভয় সংস্থার প্রতিশ্রুতিকে বাস্তব রূপ দেবে। সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, আসছে বছর থেকেই সৌদি আরবে বৈদ্যুতিক গাড়ির টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং অপারেশনের সম্ভাবনা যাচাই করবে ইভিই এয়ার মোবিলিটি।
যৌথভাবে বৈদ্যুতিক উড়ন্ত গাড়ি চালু করে সৌদি আরবের শহরগুলোতে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে একটি নতুন বিকল্প অফার করবে ফ্লাইনাস ও ইভিই এয়ার মোবিলিটি। এ দুটি কোম্পানি বৈদ্যুতিক বিমান চলাচলের ভবিষ্যৎ গঠন করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে একটি দক্ষ, নিরাপদ এবং টেকসই পরিবহন সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সৌদি সরকারকে।
দ্য ইকোনমিস্টের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বর্তমানে চীনে এমন একটি উড়ন্ত ট্যাক্সি চালু রয়েছে। দেশটির গুয়াংঝু প্রদেশের ইহাং নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই উড়ন্ত ট্যাক্সি সার্ভিস বাজারে এনেছে। তাদের পরিচালিত এসব ইলেকট্রিক মাল্টিকপ্টারে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুইজন যাত্রীকে বহন করা যায়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জোবি অ্যাভিয়েশন নামের একটি কোম্পানি ২০২৫ সালে ম্যানহাটনে উড়ন্ত ট্যাক্সি সার্ভিস চালুর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
Discussion about this post