পবিত্র মক্কা নগরী রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্মস্থান। এখানে ইসলামের অনেক পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ন নিদর্শনাবলী রয়েছে।এখানে রয়েছে পবিত্র কাবা ঘর যা মুসলমানদের কিবলা।ইসলাম ধর্ম মতে কাবা কে সবচেয়ে পবিত্র স্থান হিসেবে মনে করা হয়। কাবাকে ঘিরে রয়েছে মসজিদুল হারাম। এই নগরীর গুরুত্ব এতটাই বেশি যে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এই নগরীর শপথ করেছেন।
মক্কা ও মদীনা এ দুটি পবিত্র নগরিকে ইসলামের ক্যান্টনমেন্ট ধরা যেতে পারে। এখানে শুধু যারা ইসলাম ও মহানবীর অনুসারী এবং এর প্রতিরক্ষার সাথে জড়িত তারাই প্রবেশের অনুমতি পায়। রাসুল (সাঃ) এর সময়ে মক্কায় অমুসলিমরা বাস করত। তবে মসজিদুল হারামে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। পবিত্র কুরআন শরফিরে সূরা আত তাওবাহ এর ২৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- “হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং মক্কা বিজয়ের বছরে পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে। কিন্তু সৌদি সরকার আধুনিক সময়ে পবিত্র নগরীর পবিত্রতা রক্ষার্থে সম্পূর্ন নগরীকে অমুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।
তবে ঠিকেই অন্য শহর গুলোতে হাজার হাজার অমুসলিম বসবাস করে। তাদের মধ্যে অনেকেই ভালোবেসে ইসলাম ধর্মকে গ্রহণ করছেনে। তারাও মনে করছেন ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। দেশটির গণমাধ্যম সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে এক বছরে অর্ধলাখের বেশি লোক ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
গত ১১ মাসে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে তারা ইসলাম গ্রহণ করেন। জানা যায়, ২০২৩ সালের শুরু থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৫৬১ জন স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেন। এর মধ্যে পুরুষ রয়েছেন ৪১ হাজার ৬০৯ জন এবং নারী রয়েছেন ১৪ হাজার ৯৫২ জন। তারা এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও লাতি আমেরিকার বিভিন্ন দেশের অধিবাসী।
সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখার তত্ত্বাবধানে অমুসলিমদের কাছে ইসলামের শিক্ষা উপস্থাপন করা হয়। সংশ্লিষ্ট শাখার বিশেষজ্ঞ আলেমরা বিভিন্ন ভাষায় ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
সাধারণত বক্তৃতা, পাঠদান, সেমিনার, কর্মশালাসহ সফরের আয়োজন করা হয়। কম্পানি, হাসপাতাল, অভিবাসী শ্রমিকদের জমায়েতের স্থানসহ বিভিন্ন স্থানে এসব আয়োজন করা হয়।
সৌদি মন্ত্রী আররাবিয়া বলেন, যে দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক, বাদশাহ সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্সের সরকার ইবাদত পালনের সব পদ্ধতি সহজ করতে এবং পুরো বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক মুসলমানকে পবিত্র স্থান পরিদর্শন করতে এবং ওমরাহ পালনের ব্যবস্থা করতে কাজ করছে।
Discussion about this post