প্রায় ১৭ বছর ধরে ছিলেন কারাগারে। এর মধ্যে কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন। সবার মনেই ছিল প্রশ্ন—কবে কারামুক্ত হবেন লুৎফুজ্জামান বাবর? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলে গত ১৬ জানুয়ারি। মুক্তি পান সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। নতুন খবর হলো, ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবর। পরে তাকে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুবাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছেলেসহ রওনা হন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানটি দুবাই এসে পৌঁছায়।
জাকির হোসেন আরও বলেন, বিমানের মধ্যেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন বাবর। পরে বিমানবন্দরে নামার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় দুবাই হাসপাতালে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে সৌদি চলে গেছেন। সঙ্গে রয়েছেন ছেলে লাবিব।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির এই আহ্বায়ক বলেন, সুস্থ হলে বাবর সৌদি আরবে যাবেন। সেখানে ওমরাহ শেষে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে তার সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, কারামুক্ত হওয়ার তিন দিন পর গত ১৯ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবর। রাতে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে গত ১৪ জানুয়ারি খালাস পান লুৎফুজ্জামান বাবর। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের মাধ্যমে সব মামলা থেকে খালাস পান বাবর।
এর আগে, ২০০৭ সালের ২৮ মে গ্রেপ্তার হন লুৎফুজ্জামান বাবর। পরে বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান তিনি।
এস এইচ/
Discussion about this post