শাহজালাল নাঈম। বয়স মাত্র ২২ এর ঘরে। ভাগ্য ফেরাতে ৩ মাস আগে সৌদি আরব পাড়ি জমান তিনি। প্রবাসে কিছুদিন হলো চাকরি শুরু করেছেন। শনিবার (২৫ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় জেদ্দায় কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে বুকে ব্যথা অনুভব করেন নাঈম। সহকর্মীরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দুতাবাসের মাধ্যমে দেশে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তার পরিবার।
মৃত শাহজালাল নাঈম নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নলুয়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। তিনি তিন মাস আগে ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সৌদি আরবে পাড়ি জমান।
মৃতের সহকর্মী প্রবাসী মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, আমরা এক সঙ্গে কাজ করি, এক সাথে থাকি। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে হঠাৎ নাঈমের বুকে ব্যথা অনুভব করে। আমরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসক বলে সে স্ট্রোক করে মারা গেছে। অল্প বয়সে পরিবারের মায়া ত্যাগ করে প্রবাসে এসেছিল। আমরা এটা মেনে নিতে পারছি না।
নাঈমের বন্ধু হৃদবলেন, তার বয়স মাত্র ১৯ বছর। বিদেশে যেতে বয়স বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাবা-মায়ের কত স্বপ্ন ছিল একমাত্র ছেলেকে নিয়ে! কথা ছিল ছেলে বিদেশ যাবে, টাকা উপার্জন করে বাবা-মা পরিবারকে সুখে রাখবে। সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে, অভাবগুলো দূর করবে। কিন্তু আজ সে পরপারে পাড়ি জমিয়েছে।
মৃতের চাচা আবদুল জলিল বলেন, ছেলেটা আমার ভাতিজা হয়। তার বাবা শাহ আলম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। মাত্র এক বছর হলো দেশে ফিরেছেন। একমাত্র ছেলে নাঈম। তাকেও ৩ মাস আগে সৌদিতে পাঠানো হয়। মৃতের পরিবার মরদেহ আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
ডমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন বলেন, ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সৌদি আরব গিয়ে নাঈম কফিনবন্দি হয়েছে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মরদেহ দেশে আনার জন্য পরিবার সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
টিবি
Discussion about this post