সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মারাহফ আবু কাসরা এবং গোয়েন্দা প্রধান আনাস খাত্তাবসহ প্রতিনিধি দল বুধবার রাতে রিয়াদের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সৌদি ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ এলখেরেজি স্বাগত জানান।
সিরিয়ার নতুন শাসকদের এটিই প্রথম বিদেশ সফর। সিরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই সফর। সিরিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন যে, সেখানে পৌঁছানোর পর সৌদি আরবের সাথে একটি “নতুন, উজ্জ্বল অধ্যায়” শুরু হবে বলে তারা আশাবাদী।
আসাদ আল-শিবানী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা এক পোস্টে লিখেছেন, “আমি এইমাত্র সৌদি আরবে পৌঁছেছি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মুরহাফ আবু কাসরা এবং জেনারেল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের প্রধান আনাস খাত্তাবের সাথে আছেন। মুক্ত সিরিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম সফরের মাধ্যমে আমরা সিরিয়া-সৌদি সম্পর্কের একটি নতুন, উজ্জ্বল অধ্যায় শুরু করতে আশাবাদী।
আল-শিবানী গত ২১ ডিসেম্বর সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন। আসাদ সরকার উৎখাতের পর তিনি দেশের প্রথম শীর্ষ কূটনীতিক হয়ে ওঠেন। এর আগে বুধবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছিল যে প্রতিনিধি দলটি “সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে” রাজ্যে সফর করছে।
মঙ্গলবার প্রচারিত আল জাজিরার সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে, আল-শিবানী সিরিয়ার ওপর পশ্চিমা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি দেশের ভবিষ্যতের জন্য নতুন প্রশাসনের পরিকল্পনাও বিশদ বর্ণনা করেন।
এদিকে সাবেক মার্কিন কূটনীতিক ও পেন্টাগন কর্মকর্তা অ্যাডাম ক্লেমেন্টস বলেছেন, সিরিয়ার ওপর ইরানের প্রভাব কমায়, সৌদি আরব সিরিয়ার সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক স্থাপনে কাজ করছে। তার কথায়, “আমি মনে করি এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, রিয়াদ সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের সাথে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। নতুন সিরিয়া নির্মাণ ও পুনর্গঠনের শুরুতে সৌদি আরবেরও একটি বড় ভূমিকা থাকবে। সিরিয়া তেল এবং জ্বালানীর জন্য ইরানের ওপর খুব নির্ভরশীল। তাই আমি মনে করি উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলিও এটিকে সমর্থন করতে পারে”।
এর আগে গত রোববার সৌদি মালিকানাধীন আল আরাবিয়া টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি বলেন, রিয়াদ অবশ্যই সিরিয়ার ভবিষ্যতে একটি বড় ভূমিকা রাখবে এবং এটি প্রতিবেশী দেশের জন্য সিরিয়ায় বড় বিনিয়োগের সুযোগ।
সূত্র : আল জাজিরা
এ ইউ/
Discussion about this post