বরিশালে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহা. রকিবুল ইসলাম ওই আদেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী মো. আজিবর রহমান জানিয়েছেন।
দণ্ডিত মো. হারুন মোল্লা (২২) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কালিদাসিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সিদ্দিক মোল্লার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত হারুন এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি গার্লস হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে ২০১৮ সালের ৭ মে অপহরণ করে। পরে ছাত্রীকে মারধর ও জখম করার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। এ অভিযোগে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করে। আদালতের নির্দেশে বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানা এজাহার হিসেবে মামলা রুজু করে। পরে থানার এসআই মো. আ. ছবুর ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই চার জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। বিচারক ৭ জনের স্বাক্ষ্য নিয়ে রায় দেন। এতে মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
বেঞ্চ সহকারী বলেন, দণ্ডিত হারুনকে অপহরণের দায়ে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
দণ্ডিত হারুন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি নিজে পেশায় কৃষক।
এস এইচ/
Discussion about this post