যশোরের ঝিকরগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় রাগ করে ১১ মাসের সন্তানকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তার বাবা।
রোববার (১১ই আগস্ট) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার শরীফপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ইমামুল দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকতেন। বিদেশ থেকে ফেরার পর স্ত্রী মমতাজ বেগমকে (২৩) তার বাবার বাড়িতে যেতে দিতেন না তিনি। বিষয়টি নিয়ে মমতাজ ও ইমামুলের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মমতাজ ১১ মাস বয়সী সন্তান আইমানকে ইমামুলের কাছে রেখে বাবার বাড়ি হাড়িয়া গ্রামে চলে যান। শিশুটি দুধের জন্য কান্নাকাটি শুরু করেন। কান্না থামাতে না পেরে বাবা ইমামুল শিশু আইমানকে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর তিনি রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ইমামুলের মা রহিমা বেগম বলেন, ‘মমতাজ বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে ছেলের সঙ্গে গণ্ডগোল করে। একপর্যায়ে ছোট্ট শিশুটিকে ফেলে রেখে সে বাবার বাড়িতে চলে যায়। দিনের বেলায় আমি নাতিকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে কোনো রকম রেখেছিলাম। রাতে আমার নাতিকে নিয়ে ছেলে ইমামুল ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলের মরদেহটি ঘরের মধ্যে রশিতে ঝুলছে। পাশে বিছানায় আমার নাতি আইমানের মরদেহ পড়ে আছে।’
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে ইমামুল আত্মহত্যা করেছেন। ইমামুলের ঘরে তার ছোট্ট শিশু সন্তান আইমানকেও মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর ওপর অভিমান করে শিশুটিকে হত্যার পর ইমামুল আত্মহত্যা করেছেন। দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রঃ সময় টিবি
এম/এইচ
Discussion about this post