মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ বা প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন মাইক জনসন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে বিষয়টি জানান যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মাইক জনসন বর্তমানে হাউসের স্পিকার হিসাবে কাজ করছেন। তাকে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ বা প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ট্রাম্প।
এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘স্পিকার মাইক জনসন একজন ভালো, কঠোর পরিশ্রমী ও ধর্মপরায়ণ মানুষ। তিনি সঠিক কাজটি করবেন এবং আমাদের জয় অব্যাহত থাকবে। মাইকের প্রতি আমার পূর্ণ অনুমোদন আছে। এমএজিএ (মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন)।’
তবে জনসনের সামনের পথটি কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের পর আগামী ৩ জানুয়ারি কংগ্রেসের নতুন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পরবর্তী স্পিকার হিসেবে কাকে ভোট দেওয়া হবে, তা নিয়ে রিপাবলিকান শিবিরে উত্তেজনা চলছে।
বর্তমান স্পিকার হিসেবে জনসনই সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থী। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে বাজেট বিল পাসের বিষয়ে তার ভূমিকায় রিপাবলিকান ককাসের বিভক্তি প্রকাশ পেয়েছে। তার নেতৃত্বের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে।
প্রতিনিধি পরিষদে লুইজিয়ানার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন জনসন। হাউস স্পিকারের পদে বহাল থাকতে হলে জনসনকে রিপাবলিকানদের সব ভোট পেতে হবে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদে সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে যাচ্ছেন। আধুনিক মার্কিন ইতিহাসে ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় এটি তাদের সবচেয়ে কম ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা। ৪৩৫ আসনের এ পরিষদে রিপাবলিকানদের আসন ২১৯টি; যা মোট আসনের ৫০ শতাংশের কিছু বেশি।
ডেমোক্র্যাটরা ঐতিহ্যগতভাবেই নিজেদের দলের কাউকে প্রতিনিধি পরিষদে নেতা নির্বাচিত করতে ভোট দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে রিপাবলিকান প্রতিনিধিদের হাতে গোনা কয়েকজনও যদি জনসনকে স্পিকার হিসেবে ভোট না দেন, তবে তিনি স্পিকার হতে পারবেন না।
ইতিমধ্যে প্রতিনিধি পরিষদের কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য জনসনের নেতৃত্বের বিরোধিতা করেছেন, যেমন কেন্টাকির টমাস ম্যাসি জোরালোভাবে বলে দিয়েছেন যে তিনি লুইজিয়ানার প্রতিনিধিকে (মাইক জনসন) ভোট দেবেন না।
২৭ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ম্যাসি লিখেছেন, ‘মাইক জনসনকে নয়, আমি অন্য কাউকে ভোট দেব।’
জনসনকে নিয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যে বিরোধের একটি কারণ হলো, দ্বিদলীয় বাজেট বিলের প্রতি জনসনের সমর্থন। ২১ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের শাটডাউন এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য এ বিলের বিরোধিতা করেছেন। ম্যাসিসহ আরও কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য একটি ‘স্বচ্ছ’ অর্থবিল পাসের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা
এ ইউ/
Discussion about this post