প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের যেকোনও খাতে স্পেনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে।
বাংলাদেশে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস বেনিতেজ সালাস আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে তাঁকে উদ্ধৃত জানান, ‘তাদেরকে (স্পেনের উদ্যোক্তারা) স্বাগত জানানো হয়েছে। তারা বাংলাদেশে তাদের পছন্দের যে কোনো খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।’
এদিকে স্পেনের অনেক উদ্যোক্তা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন স্পেনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। বিদায়ী এ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, অনেক উদ্যোক্তা বাংলাদেশ সফর করতে এবং এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। স্পেনের হাসপাতাল ও কৃষি যন্ত্রপাতির মান খুবই ভালো বলে জানান তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত উভয়েই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্নাতক হওয়ার পরও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্পেনের কাছ থেকে জিএসপি প্লাস সুবিধা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ৬০ হাজার বাংলাদেশি স্পেনে কাজ করছে এবং তারা উভয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কপ-২৫ এ যোগ দিতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে স্পেনের মাদ্রিদে তার সফরের কথা স্মরণ করেন।
স্পেনের রাষ্ট্রদূত গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব, বিশেষ করে সামাজিক, রাজনৈতিক, আর্থিক ও নারী উন্নয়ন খাতে বাংলাদেশের নজিরবিহীন উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম নারীদের জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। নারীদের ক্ষমতায়ন করতে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু আমরা তা কাটিয়ে উঠেছি।
স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত কোভিড-১৯ মহামারির সময় বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন। বলেন, বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা খুবই কম ছিল।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post