শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখার সময় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছে ২ হাজার ৬২২ দশমিক ৩ ডলারে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম একদিনে ৩৪ দশমিক ৯৫ ডলার বা ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে বিশ্ববাজারে কেনাবেচা চলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোয় বিশ্বে বাড়ছে স্বর্ণ কেনার প্রবণতা। বিশ্ববাজারে যে হারে দাম বাড়ছে, এতে যে কোনো সময় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। আর বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। তাই যে কোনো সময় দেশের বাজারেও দাম সমন্বয় করা হতে পারে।
হংকং থেকে সিনহুয়া জানায়, ফেডারেল রিজার্ভ মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ধারের সুদের হার কমানো এবং আরও কমবে বলে ইঙ্গিত দেয়ার দুইদিন পর স্বর্ণের মূল্য রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়ে আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সে হিসাবে সবশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ৩ হাজার ৫৮১ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬ হাজার ২৮২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৭ হাজার ১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে।
সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, আমরা স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।’
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৩৮ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২২ বার দাম বাড়ানো হয়, আর কমানো হয়েছে ১৬ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
এ ইউ/
Discussion about this post