প্রেমের টানে নয় স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে বাংলাদেশি স্বামীর খোঁজো হবিগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে এসে হাজির হয়েছেন মাহা বাজোয়ার (৩০) নামের এক পাকিস্তানি নারী। তিনি পাকিস্তানের লাহোরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে ।
গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে এসেছেন মাহা। বর্তমানে তিনি চুনারুঘাটে অবস্থান করছেন।
তবে, এবার যৌতুকের দাবিতে আদালতে মামলা করলেন বাংলাদেশে আসা পাকিস্তানি নারী মাহা বাজোয়া। স্ত্রী-সন্তানকে অবহেলায় অভিযুক্ত হবিগঞ্জের চুনারুঘাট শহরের সাজ্জাদ হোসেন তালুকদারের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবির মামলা করেন। সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার (৩৫) চুনারুঘাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বড়াইল এলাকার শফিউল্লা মজুমদারের ছেলে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীনের আদালত মামলাটি আমলে নেন। একইসঙ্গে সাজ্জাদ হোসেনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির নির্দেশ দেন। সাজ্জাদ চুনারুঘাট শহরের বড়াইল এলাকার সফিউল্লা মজুমদারের ছেলে।
ওই আদালতের পেশকার তাজুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ১০ লাখ টাকার যৌতুক মামলা দায়ের করেন পাকিস্তানি নারী। মঙ্গলবার শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারির নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানের লাহোর প্রদেশের মুলতান রোডের সাকি স্ট্রিট সৈয়দপুরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে মাহা বাজোয়ার সঙ্গে ১০ বছর আগে দুবাইয়ে সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের পরিচয় হয়। পরে তারা ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েও করেন। তাদের জান্নাত নামে আট বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
২০১৮ সালে সাজ্জাদের বাড়িতে কয়েক মাস অবস্থান করেন মাহা। পরে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। গত ১৭ নভেম্বর মাহা বাজোয়া পাকিস্তান থেকে স্বামীর বাড়ি চুনারুঘাটে আসেন। এসময় সাজ্জাদ স্ত্রীর প্রতি অবহেলা করার পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গত ৮ ডিসেম্বর যৌতুকের ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় মাহা বাজোয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সাজ্জাদ। পরে মাহা বাজোয়া বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
Discussion about this post