৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ১ হাজার ৪১৮টি অস্ত্রের এখনো খোঁজ মেলেনি। এসব অস্ত্র নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যও নেই পুলিশের কাছে।
সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের শিকার শাহিদা ইসলামকে লুট হওয়া অস্ত্র দিয়েই হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অন্তঃসত্ত্বা শাহিদাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় যে পিস্তল ব্যবহৃত হয়েছে সেটি ওয়ারি থানার এক পরিদর্শকের। এমন বাস্তবতায় সংশ্লিষ্টরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ছিনতাই, হত্যাকাণ্ডে এসব অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে।
অভ্যুত্থানের সময় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হয় ১ হাজার ৮৯৮টি অস্ত্র। এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ১ হাজার ২১৭টি। হদিস মেলেনি বাকি ৬৮১টির। সারাদেশে লুট হওয়া ৫ হাজার ৭৪৯টি অস্ত্রের মধ্যে উদ্ধার করা যায়নি ১ হাজার ৪১৮টি। এছাড়া লুট হওয়া অস্ত্র বিক্রির সময় গ্রেপ্তার হয়েছে বেশ কয়েকজন।
পুলিশ বলছে, উদ্ধার অভিযান চললেও পিস্তলের মতো ছোট অস্ত্র এখনো অপরাধীদের হাতে রয়েছে। যার সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় অন্ধকারে রয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অস্ত্র উদ্ধারে আমরা কাজ করছি। যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে দ্রুত এ সব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো জরুরি। যদি এই সব অস্ত্র বেআইনিভাবে অন্যের হাতে থাকে সেটা বিপজ্জনক। আইনশৃঙ্খলার জন্য আরো বেশি বিপজ্জনক।
তবে ৫ আগস্টের পর থানা পুলিশের অস্ত্র লুটের হিসাব দেয়া হলেও গণভবনের খোয়া যাওয়া অস্ত্রের কোনো হিসাব দেয়া হয়নি। গণভবণের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি।
এ ইউ/
Discussion about this post