হাসিখুশি থাকার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আপনার দেখাদেখি আরও অনেকের মুখেই হাসি ফুটে উঠবে। একজন ইতিবাচক মানুষের প্রভাব কিন্তু বেশ বড়। তাকে দেখে অনেকেই তার মতো হতে চায়। হাসি মানেই ইতিবাচকতা। জীবনে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি আসবেই। সবকিছু ভুলে আপনাকে হাসতে জানতে হবে। হাসির রয়েছে অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
- রক্তচাপ কমায়: একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, হাসার সময় আমাদের সারা শরীরে রক্ত চলাচলের গতি বৃদ্ধি পায়। আমাদের শরীরের রক্তনালীগুলি প্রসারিত হতে শুরু করে। ফলে ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ দ্রুত কমতে থাকে। তাই যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার মোক্ষম দাওয়াই হাসির ‘ডোজ’।
- হাসলে ভাল থাকে হার্ট: প্রাণ খুলে হাসলে রক্তচাপ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় হার্টের কার্যক্ষমতাও। সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ মাত্রা বেড়ে গিয়ে চাঙ্গা হয়ে ওটে আমাদের হৃদযন্ত্র। ফলে কমে যায় হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও।
আরও পড়ুনঃ ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে ঝলক
- স্ট্রেস কমায়: হাসির সময় আমাদের শরীরে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে পরিচিত। এটি কর্টিজল হরমোনের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। ফলে মানসিক, শারীরিক চাপ বা অবসাদ বোধ দ্রুত ক্ষিণ হয়ে আসে।
- ফুসফুস স্বাস্থ্য ভাল থাকে: যখন আমরা হাসি, তখন ফুসফুস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রসারিত হয়। ফলে আমাদের ফুসফুস বিশুদ্ধ অক্সিজেনে ভরে ওঠে এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধি পায় ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও।
- হাসি মন ও শরীরের ব্যায়াম: একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হাসার সময় আমাদের শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ক্যালোরি দ্রুত বার্ন হতে থাকে। হাসার সময় চাপ পড়ে পেটেও খুব। ফলে পেটের মেদ দ্রুত ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে এই হাসি। গবেষকদের মতে, ১০০ বার হাসলে তা ১০ মিনিট দ্রুত নৌকা চালানো অথবা ১৫ মিনিট জোরে সাইকেল চালানোর সমান।
- হাসি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়: রাগ, হতাশা বা দুঃখ কমিয়ে দ্রুত মন ভাল করতে হাসির বিকল্প মেলা ভার। মানসিক চাপ বা অবসাদ কমাতে বিশেষজ্ঞরা তাই হাসির দাওয়াইয়ের কথাই বলে থাকেন।
- হাসি টি-সেলের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: টি-সেল বা এই বিশেষ কোষের শক্তি যত বাড়ে, তত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে কমে যায় অসুখ-বিসুখে ভোগার আশঙ্কা।
এ এ/
Discussion about this post