কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ বাড়ছে হবিগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্তে। ভিসা বন্ধ থাকায় দালাল চক্রের সহায়তায় অবৈধভাবে ঢুকছে রাজনৈতিক নেতাসহ প্রভাবশালীরা। অভিযোগ উঠছে, বিজিবি-বিএসএফকে ম্যানেজ করেই চলছে মানবপাচারের মহাযজ্ঞ।
সরেজমিনে দেখা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্তে কিছু মানুষের আনাগোনা কাঁটাতারের আশপাশে। বিশেষ কাজে ব্যবহার করার জন্য ছিল একটি মই। পরে স্পষ্ট হওয়া গেল সেই মইটি ব্যবহার করে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হচ্ছে কিছু মানুষ।
এমন দৃশ্য হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মাধবপুর সীমান্তে এখন হরহামেশাই দেখা মিলছে। দালালের হাত ধরে সীমান্তে বাড়ছে অনুপ্রবেশ। সাধারণের সঙ্গে তালিকায় আছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, ভারতের ভিসা বন্ধ থাকার কারণে এদিক দিয়ে অবাধে চলছে মানবপাচার। ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও সীমান্ত পার হচ্ছেন।
দুদেশের নিরাপত্তা চৌকি পেরিয়ে কিভাবে চলছে পারাপার ব্যবসা? টেলিফোনে কথা হয় জেলার চুনারুঘাটের বাল্লা সীমান্তের আব্দুস শহিদ নামে দালাল চক্রের এক সদস্যের সঙ্গে।
তিনি দাবি করেন, বিজিবি নেবে দুই হাজার টাকা, ইন্ডিয়ায়ও দিতে হবে তিন হাজার টাকা। এত কম টাকায় আমরা নিই না। পরিচিত থাকায় টাকা কম নিচ্ছি।
তবে বিজিবির দাবি, অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সজাগ তারা। বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারাহ মোহম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, কেউ আমাকে এই ধরনে অভিযোগ করেনি যে বিজিবি সদস্যরা মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমি শতভাগ নিশ্চিত বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত নয়। যেসব জায়গা দিয়ে মানবপাচার বেশি হচ্ছে সেখানে দ্বিগুণ জনবল রাখা আছে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর শুধু মাধবপুর সীমান্তে ৫৬ জন অনুপ্রবেশকারী ও দুজন পাচারকারীকে আটক করছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।
সূত্র: চ্যানেল 24
এসে এইচ/
Discussion about this post