নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটির বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, তথ্য চুরির ঘটনায় ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি আছে।
তিনি আরও বলেন, এর বাইরে আরও ১৫ থেকে ২০ জন আসামি আছে। তারা পরস্পরের যোগসাজশে এ কাজের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
আসামিরা তথ্য বিক্রির মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন, এমন অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন এনামুল হক।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জয় ও পলক একটি সংগঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নাগরিকদের এনআইডি তথ্য বিক্রি করার সুবিধা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে এনআইডি ডেটা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন, যা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হয়। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই ডেটা প্রায় ১৮২টি স্থানে বিক্রি করার ফলে জননিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে এজাহারে বলা হয়।
এটি নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য এক বিপজ্জনক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ চুরির ঘটনা কীভাবে ঘটেছে ও এর পরিণতি কী হতে পারে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা জারি করেছেন। এটি একটি গুরুতর বিষয় এবং দেশের জনগণের নিরাপত্তা ওপর প্রভাব ফেলবে।
এ ইউ/
Discussion about this post