বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের চাওয়ার প্রেক্ষিতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকেই খুন, গুম ও গণহত্যার একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে বিগত সরকারের বিরুদ্ধে। রাজধানীসহ সারাদেশে একের পর এক মামলায় জড়াতে থাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম, যার মধ্যে অধিকাংশই হত্যা মামলা।
সুনির্দিষ্টভাবে শুধু ঢাকার হিসাব করলেই গত দেড় মাসে ১৫০টি মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তার নাম। এর মধ্যে ১৪০টিই হত্যা মামলা। বাকি ১০টি মামলায় হত্যাচেষ্টা, হুমকি, লাঞ্ছিত ও মারধরের অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা। এ হিসেবে ঢাকার আদালতগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার ৯৩ দশমিক ৩৩ শতাংশই হত্যা মামলা।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে প্রথম মামলাটি হয় গত ১৩ আগস্ট। কোটা আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সায়েদ নামে এক মুদি দোকানি নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যার অভিযোগ তুলে মামলাটি দায়ের হয়; আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনকে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকার আমলি আদালতগুলোতে মোট ৩১টি থানায় এরকম ১৫০টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু যাত্রাবাড়ী থানাতেই দায়ের হয়েছে ৪২টি মামলা। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মামলা হয়েছে মিরপুর থানায়; দেড় মাসে ২৪টি মামলা হয়েছে এ থানায়। এ ছাড়া উত্তরা-পূর্বে ১৪টি, সাভারে ১০টি, বাড্ডায় ৯টি, মোহাম্মদপুর ও কদমতলীতে ৫টি করে, রামপুরায় ৪টি; তেজগাঁও, নিউমার্কেট, আদাবর, সূত্রাপুর, খিলগাঁও ও হাতিরঝিল থানায় ৩টি করে; পল্লবী, বংশাল, শেরেবাংলা নগর, বনানী, পল্টন, মুগদা, ভাটারা থানায় দুটি করে এবং আশুলিয়া, কাফরুল, মতিঝিল, চকবাজার, লালবাগ, গুলশান, বিমানবন্দর, শাহবাগ, ধানমন্ডি ও কোতোয়ালি থানায় একটি করে মামলা করা হয়েছে।
এস এম/
Discussion about this post