বহুল আলোচিত এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল ইসলাম (এস আলম) ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিদেশে প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে উঠেছে। ইতোমধ্যেই এ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিআইডি জানিয়েছে, এস আলম ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে বিভিন্ন দেশে স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ ক্রয় এবং ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। তারা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সাইপ্রাসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই অর্থ ব্যবহার করেছেন। এমনকি বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বাতিল করে মাত্র ১ দিনের ব্যবধানে পিআর (পারমানেন্ট রেসিডেন্স) গ্রহণ করেছেন।
তদন্তের সূত্র অনুযায়ী, এস আলম সিঙ্গাপুরে ২৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ‘ক্যানালি লজিস্ট্রিক প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া, ভুয়া নথি তৈরি এবং প্রতারণার মাধ্যমে ৯৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা বিদেশে পাচার করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে যে, এস আলম বিভিন্ন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খুলে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরো অন্তত ১৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
এস আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলমসহ অন্যান্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতায় এই মানি লন্ডারিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে বলে সিআইডি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
এই তদন্ত মানি লন্ডারিং আইন ও বিধি অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে, এবং সিআইডি বিষয়টির গভীরতা নিরূপণ করতে তৎপর রয়েছে।
টিবি
Discussion about this post