হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে ৯ বছরের শিশু। এপাশ ওপাশ হওয়ারও যেন কোনো শক্তি নেই। তার ওপর রয়েছে শরীরে অস্ত্রোপচারের ধকল। এভাবেই দিন পার করছে ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুটি।
তার পরিবার জানায়, ১২ অক্টোবর রাতে বনানী এলাকা থেকে এক ব্যক্তি ২০০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিয়ে যায় তাকে। অজ্ঞাত কোনো এলাকায় নিয়ে একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় সারারাত আটকে রেখে ধর্ষণ করে শিশুটিকে। পরদিন সকালে সে দরজা খুলে বেরিয়ে এলে পিছু নেয় ওই লোক। শিশুটিকে উঠিয়ে দেয় একটি বাসে।
ওইদিন বাসায় পৌঁছানোর পর শরীরে রক্ত দেখতে পান শিশুটির মা। সন্দেহ হলে মেয়েকে জিজ্ঞাসার পর নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া পাশবিক সেই নির্যাতনের ঘটনা খুলে বলে ছোট্ট মেয়েটি।
১৪ অক্টোবর স্বজন ও পুলিশ মিলে শিশুটিকে ভর্তি করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে। ওইদিনই বনানী থানায় ধর্ষণ মামলা করে মেয়েটির পরিবার। আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে। তবে মামলার ছয়দিন পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতারতো দূরের কথা, এখনও অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে রাজি হননি বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সরোয়ার। তবে ধর্ষণ মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি শনাক্ত ও তাকে ধরার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
সেইসঙ্গে রাজধানীর বনানী এলাকার রাস্তাঘাটের সব সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সূত্রঃ সময় টিবি
এম এইচ/
Discussion about this post