সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বক্তব্য করেন সরকার ব্যর্থ হলেও আমাদের আগামী প্রজন্ম নিরাপদ সড়ক উপহার দিতে ব্যর্থ হবে না।
তিনি বলেছেন, আমরা জাতি হিসেবে একটি সন্ধিক্ষণে আছি। সন্ধিক্ষণ বলার কারণ হচ্ছে, একটি সময় থেকে অন্য আরেকটি সময়ে উত্তরণের বেগে আছি। আমরা মনে করি, আমাদের প্রজন্ম অনেক কিছুতে ব্যর্থ হয়েছে। এর বড় দৃষ্টান্ত সড়কের ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে না পারা। কিন্তু ২০১৮ সালে আমাদের ছাত্ররাই তাদের আত্মদানের মাধ্যমে ও সড়ক নিয়ন্ত্রণ করে দেখিয়ে দিয়েছে, আসলে কাজটা কীভাবে করা উচিত। সে সময় সড়কে যারা যাতায়াত করেছেন, তারা সবাই অনুভব করেছেন, সড়কের শৃঙ্খলা তো এমনই হওয়া উচিত। তখন দুর্ঘটনাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা সেটা ধরে রাখতে পারিনি।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যখন একটি স্বৈরাচারী সরকার ছিল, আমি অন্তত মনে করেছিলাম, আমি এর শেষ দেখে যেতে পারব না। কিন্তু জুলাই এবং আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেখিয়ে দিলো স্বৈরাচারেরও পতন সম্ভব৷
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
এস এম/
Discussion about this post