সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি হাসপাতালের মর্গে প্রায় ২৫ দিন ধরে পড়ে আছে এক বাংলাদেশি প্রবাসীর মরদেহ। ইসমাইল খান (৩৪) নামে ওই প্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার হর্নি দুর্গাপুরের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে।
গত ১৯ অক্টোবর ইসমাইল খান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মরদেহ বর্তমানে শারজাহ কুয়েতি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। অর্থাভাবে তার মরদেহ দেশে পাঠানোর দিনক্ষণ কেবল দীর্ঘ হচ্ছে।
স্বামীর লাশ দেশে ফেরানোর আকুতি জানিয়ে রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘লাখ টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ছয় মাস আগে আমিরাতে পাড়ি দেন ইসমাইল খান। যেখানে শুধু বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঋণ ছিল ৫ লাখ টাকা। খুব ভরসা করে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে। আয় রোজগার করে এই ঋণ পরিশোধের কথা ছিল তার। কিন্তু তার মৃত্যুতে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। এখন ঋণের টাকার জন্য পাওনাদাররা প্রতিনিয়ত বাড়িতে ভিড় করছে।’
স্থানীয় প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম রুপু জানান, দুই বছর আগে সামাজিকভাবে রাজিয়া সুলতানাকে বিয়ে করেন ইসমাইল খান। দেশে জীবিকা নির্বাহের পথ না পেয়ে সুখের সন্ধানে আমিরাতে পাড়ি জমান। কিন্তু দেশটিতে কর্মহীন অবস্থায় তার লম্বা সময় কেটে যায়। নতুন ভিসা নিয়ে কাজ শুরু করার মাত্র কিছুদিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর আবদুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Discussion about this post