চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করে।
সোমবার, রাজধানী ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করলে এই ঘটনা ঘটে।
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীরা সকালে শাহবাগে অবস্থানের পর, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন। সোমবার দুপুর সোয়া ১টায় তারা এখানে পৌঁছায়।
সেখানে পৌঁছার পর মিছিল ও স্লোগান দেওয়ার সময় তাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশকে কয়েক দফা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।
আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পৌঁছানোর পর তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। তখন সেখানের সড়কে বসে পড়ে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এর আগে, সকাল দশটার পর থেকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে সমাবেশ শুরু করেন দুই হাজারের বেশি আন্দোলনকারী।
এ সময় তারা ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ চাই’, ‘বয়সসীমা মুক্ত করি-স্বপ্ন গড়ি দেশ গড়ি’, ‘বৈষম্যবিরোধী দেশ গড়তে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ চাই’ -ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে সমাবেশে অংশ নেন।
বেলা তিনটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান করছিলেন। গত ২৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন সংলগ্ন এলাকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে।
এ ইউ/
Discussion about this post