মাত্র চার বছর বয়সী শিশুর একটি অস্পষ্ট আঁকা ছবি তার মায়ের হত্যাকারীকে চিহ্নিত করতে সহায়তা করেছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের উত্তরপ্রদেশর ঝাঁসির এলাকা থেকে এই শিশুটির মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শুরুতে পুলিশ এ ঘটনার কোনো কারণ খুঁজে না পেয়ে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে মামলা করে।
কিন্তু ঘটনার মোড় নেয় চার বছর বয়সী কন্যাশিশুর একটি আঁকা ছবি নিয়ে। ওই ছবিতে দেখানো হয়েছে কীভাবে তার মাকে অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে বাবা। আঁকা ছবির সঙ্গে লেখা ছিল ‘বাবাই মাকে খুন করেছে।’
পুলিশ জানায়, ওই গৃহবধূর নাম সোনালী বুধোলিয়া (২৭)। তাকে হত্যার পর স্বামী জানায়, শারীরিক অসুস্থতার কারণে মানসিকভাবে সে ভেঙে পড়েছিল। এজন্য আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ শুরুতে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা মনে করলেও ‘ভুল’ ভাঙিয়ে দেয় চার বছরের কন্যাশিশু।
ওই শিশু পুলিশকে জানায়, বাবা প্রায়ই মাকে মারধর করত। ঘটনার দিন বাবাই মাকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে মেরে ফেলে দেহ ঝুলিয়ে রাখে। অত্যাচারের বিবরণ তুলে ধরতে নিজের আঁকার খাতাও পুলিশের হাতে তুলে দেয় শিশুটি। এরপরই তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়। পুলিশ ওই তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গৃহবধূর স্বামীর নাম সন্দীপ বুধোলিয়া। তিনি পেশায় ‘মেডিক্যাল রিপ্রেজ়েন্টিটিভ’। ইতিমধ্যে মেয়েকে নিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছে গৃহবধূর বাড়ির লোকজনও।
এ প্রসঙ্গে ওই গৃহবধূর বাবা বলেন, ‘২০১৯ সালে মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের দিন আমি যৌতুক হিসাবে ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। এরপর জামাই গাড়ি কেনার কথা জানায়। কিন্তু আমার পক্ষে গাড়ি কিনে দেওয়া সম্ভব নয় জানানো পর থেকেই মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত। এর আগেও একবার পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম। তখন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়েছিল।’
সুত্রঃ এনডিটিভি
এ ইউ/
Discussion about this post