বাংলাদেশের বিপুল পরিমান বেকার জনগোষ্ঠী কাজের জন্য প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমায়। অনেক বেকার যুবক আর্থিক সংকটের কারনে বিদেশে যেতে পারছেনা। বিদেশের যাওয়ার আশায় বিভিন্ন ব্যাংকে লোনের জন্য ঘুড়ে বেড়ায়। এই সব বেকারদের বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য যে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে তাদের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অন্যতম।
বেকার লোকদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে লোন দিতে ২০১১ সালে গঠন করা হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক । ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ লোকের ও বেশি বেকার দের লোন বিতরণ করেছে। তাই সহজ শর্তে বিনা জামানতে বিদেশে যাওয়ার জন্য পাওয়া যায় এই ব্যাংকের লোন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সূত্রে জান যায় এই ব্যাংকে প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লোন দিয়ে থাকে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের প্রকারভেদগুলি হলো:
বৃহৎ পরিবার লোন
এই ধরণের লোনকে প্রবাসী কল্যান ব্যাংক বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণও বলে থাকে। এই লোনের আন্ডারে আপনি সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে ১০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করতে পারবেন। আর লোন গ্রহণের ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ টাকা কোনো ধরণের জামানত ছাড়াই নিতে পারবেন। তবে ৫ লক্ষের উপরে হলে জামানত লাগবে।
পূর্ণবাসন লোন
যারা প্রবাসজীবনটুকু বৈধ উপায়ে কাটিয়ে দেশে এসে কোনোকিছু শুরু করতে চান তারা এই লোন নিতে পারবেন। সর্বোচ্চ ১০ বছর সময় হাতে পাওয়ার পাশাপাশি আপনি চাইলে এই লোনের আন্ডারে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
অভিবাসন লোন
অভিবাসন লোনের ক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণটুকু অন্যান্য ক্যাটাগরির লোনের চাইতে একটু কম। এক্ষেত্রে আপনি একজন প্রবাসী হিসাবে সর্বোচ্চ ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন। তাছাড়া এই লোন নিতে হলে আপনাকে ব্যাংক কতৃপক্ষ বরাবর বিদেশে যাওয়ার সকল কাগজপত্র শো করাতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পেতে ব্যাংকটির সকল শর্ত মেনে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ও ছবি নিয়ে নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। এর পর ব্যাংকে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে। এর পর লোনের নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে ব্যাংকে জমা দেতে হবে।
বাংলাদেশী নাগরিকদের সহজ শর্তে লোন দিয়ে থাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। তাই যে কোন নাগরিক শর্ত ও প্রয়োজনী ডকুমেন্টস জোগাড় করে এই ব্যাংকে লোনের আবেদন করতে পারবেন।
Discussion about this post