আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে ছাত্রলীগ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষে এই মাংস বিক্রি করছে সংগঠনটি। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দুদিন পর্যন্ত এই মাংস বিক্রি চলবে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টা থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভনের নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তুকিমূল্যে এই মাংস বিক্রি শুরু হয়। বাজারে গরুর মাংসের চড়া দাম থাকায় সাধারণ ক্রেতারা সকাল থেকেই শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্বল্পমূল্যে মাংস কিনতে ভিড় করেন। এ সময় ৪শ’ ৩০ জন ক্রেতার মাঝে ৫৫০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস এবং ১শ’ টাকায় ১ কেজি পোলাও চাল বিক্রি করা হয়।
মাংস নিতে আসা এক নারী জানান, আমরা ত বেশি দামে মাংস কিনতে পারি না। যে টাকা রোজগার করি তাতে সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। গরুর মাংসের দাম বেশি হওয়াই তিন মাস ধরে কিনতে পারছি না। কম দামের গরুর মাংসের খবর পেয়ে আমি এখানে এসে ৫৫০টাকায় এক কেজি মাংস ও ১০০ টাকায় এক কেজি পোলাও চাল কিনেছি।
বৃদ্ধ শাহজাদা মিয়া বলেন, বাজারে তো ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা ধরে গরুর মাংস বিক্রি হয়। তা কিনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ছাত্রলীগের উদ্যোগে ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে খবর পেয়ে আমি এসে এক কেজি গরুর মাংস কিনেছি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রমজানের প্রথম দিন থেকে আমরা ভর্তুকিতে পাঁচটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দুদিন আমরা গরুর মাংস বিক্রি করছি। একেকজন এক কেজি করে মাংস কিনতে পারছেন। আগামী দুদিন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই মাংস বিক্রি চলবে।
উল্লেখ্য, মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য রমজানের প্রথম দিন থেকে ভর্তুকিমূল্যে ছোলা, তেল, চিনি, ডাল ও পেয়াজ বিক্রি করছে জেলা ছাত্রলীগ।
Discussion about this post