যৌবনে সঞ্জয় দত্তের বেপরোয়া জীবনযাপনের কথা কারোর অজানা নয়। আর তাই তো তার জীবনী নিয়ে বায়োপিক নির্মাণ করেন রাজকুমার হিরানি। মাদক আর মেয়ের নেশায় ই ডুবে ছিলেন জীবনের অর্ধেক সময়।
নিজের মুখেই জানিয়েছেন কমপক্ষে ৩০৮ প্রেমিকা ছিল তার। দাম্পত্য জীবনেও কম আসেনি সঞ্জয়ের। প্রথম স্ত্রী রিচার অকাল মৃত্যু, দ্বিতীয় বিয়ের পরিণতি হয় ডিভোর্স। অবশেষে সি গ্রেড ছবির নায়িকা মান্যতাকে বিয়ে করেন সঞ্জয়।
২০০৮ সালে মান্যতার সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। সঞ্জয়ের তুলনায় ১৯ বছরের ছোট তার স্ত্রী। অভিনয়ের সুবাদেই পরিচয় তাদের। সেখান থেকে বন্ধুত্ব এবং পরবর্তীতে সম্পর্কে জড়ানোর পর বিয়ে করেন। পরে তাদের সংসারে আসে শাহরান ও ইকরা নামের দুই যমজ সন্তান। সেই সময়ে লম্বা সময় জেলেও কাটিয়েছেন নায়ক। তখনও সঞ্জয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন মান্যতা। একা হাতে সামলেছেন দুই সন্তানের দায়িত্ব। মাঝে ক্যানসার থাবা বসিয়েছিল সঞ্জয় দত্তের শরীরে। সেই সময় ছায়ার মতো তার সঙ্গে ছিলেন মান্যতা। দীর্ঘ চিকিৎসার পর অভিনেতা অনুরাগীদের আশ্বস্ত করেন তিনি ক্যানসার মুক্ত এবং সম্পূর্ণ সুস্থ। তার জীবনে স্ত্রী মান্যতার অবদান কখনও অস্বীকার করেন না সঞ্জয়।
ক্যাপশনে মান্যতা লিখেছেন, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী এবং জীবনে ভরপুর, আমার সাপোর্ট সিস্টেম, আমার সেরা অর্ধেক তুমি। তোমার অন্তরে যে আলো আছে সেটা দিয়েই সব বাধা, কঠিন পরিস্থিতি আর চ্যালেঞ্জ পার করব। তোমার মধ্যে অদ্ভূত ক্ষমতা রয়েছে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসার। এইরকমই থেকো…’।মান্যতা আরও লেখেন, ‘তুমি শুধু আমার কাছেই বিশেষ নয়, আরও অনেকের কাছে তুমি স্পেশ্যাল। যারা তোমাকে ভালোবাসে অন্তর থেকে। আমার স্টার, এইভাবেই আলো হয়ে জ্বলো, অনেক ভালোবাসা’।
সঞ্জয় দত্ত ও তার প্রথম স্ত্রী রিচার এক কন্যা সন্তান রয়েছে ত্রিশলা। মার্কিন মুলুকে থাকে সে। মান্যতার সঙ্গেও তিক্ত নয় ত্রিশলার সম্পর্ক।
এস এম/
Discussion about this post