রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা-মাওয়া রেলপথে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন রুটের ২২টি ট্রেন দুইদিন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই ২ দিন হচ্ছে- নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারি এবং নির্বাচনের দিন ৭ জানুয়ারি।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাত পৌনে একটার দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার তার ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে বলা হয়, সম্মানিত যাত্রী সাধারণের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অনিবার্য কারণবশত আগামী ৬-৭ জানুয়ারি বেনাপোল এক্সপ্রেস ও ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া মহানন্দা (আপ/ডাউন), রকেট (আপ/ডাউন), পদ্মরাগ (২১/২২), রংপুর শাটল (৯৭/৯৮), ঢাকা কমিউটার (৯৯), রাজশাহী কমিউটার (৫/৬) এবং বগুড়া কমিউটার (৫/৬) ট্রেন চলাচল আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
এছাড়া চিলমারী কমিউটার এবং লোকাল (৪৬২/৪৫৫/৪৫৬/৪৬১) ৬ জানুয়ারি (আংশিক) ও ৭ জানুয়ারি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
তবে পোস্টে ট্রেনগুলো চলাচল বন্ধের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানানো হয়নি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত দুইমাসে রেলপথের ১২ টি স্থানে এবং ৫টি ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া ৩টি স্থানে রেললাইন কাটা এবং ফিশপ্লেটের ক্লিপ খুলে নেয়া হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশের ৬ টি অঞ্চের মধ্যে নাশকতার ঘটনা ঢাকা অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি।
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এর আগেও ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। গত ২২ ডিসেম্বর ৫ জোড়া ট্রেনের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, রাত্রিকালীন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় এসব ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ করা ট্রেনগুলো ছিল—ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে ভূঞাপুর, জামালপুর থেকে সরিষাবাড়ী, উত্তরা এক্সপ্রেস ও ঈশ্বরদী থেকে রহনপুরগামী লোকাল ট্রেন। এসব ট্রেন এখনো চালু হয়নি।
এস আর/
Discussion about this post