টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নগদা শিমলা ইউনিয়নের উত্তর বিলডগা গ্রামের বাসিন্দা, মো. নজরুল ইসলাম ও মোছা. নাসিমা আক্তার দম্পতির ৯বছর বয়সী মেধাবী ছেলে আবীর ইসলাম নাফিস মাত্র ৭১দিনে ৩০পারা পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।
জানা যায়, অত্যন্ত মেধাবী নাফিস ২০২৩সালের ডিসেম্বর মাসে; জামতৈল দারুল কোরআন মাদ্রাসা থেকে মাত্র ১৬দিনে নাজেরা সম্পন্ন করেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন হতে সেখানেই হিফজ পড়া শুরু করেন। ১৫দিন মাদরাসায় থাকা অবস্থায় শারীরিক নানা অসুস্থতা দেখা দিলে, বাসায় ফিরে জামতৈল দারুল কোরআন মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা জোবায়ের হোসাইন এবং গোপালপুরের বারিধারা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতী মাসুদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে, মার্চের ১১তারিখ প্রথম রমজানের দিন ৩০পারা পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ করে হিফজ সম্পন্ন করেন।
নুরানি মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র অত্যন্ত মেধাবী আবীর ইসলাম নাফিস ২০২৩ সালে নুরানি তা’লীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম অধীনে ৩য় শ্রেণির পরিক্ষায় সারাদেশের ৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ম স্থানে উত্তীর্ণ হন। এছাড়াও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর নুরানি বৃত্তি পরিক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রাপ্ত হন। তার পিতা মো. নজরুল ইসলাম নলিন নঈম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাতা মোছা. নাসিমা আক্তার গোপালপুর দারুল উলুম কামিল মাদরাসার ইংরেজি প্রভাষক।
জামতৈল দারুল কোরআন মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা জোবায়ের হোসাইন বলেন, নাফিসকে যেদিন আমার কাছে নিয়ে আসা হয়, সেদিন ওর মেধা দেখে মুগ্ধ হই। ওর মেধা সবার চাইতে ভিন্ন, ওর মেধার দ্বারা একদিন সারাদেশে সুনাম কুড়াবে।
গোপালপুরের বারিধারা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতী মাসুদুর রহমান রহমান বলেন, ওর তীক্ষ্ণ মেধাশক্তির প্রতি আমাদের আস্থা ছিল। ওর মেধায় মুগ্ধ হয়ে সকাল ও সন্ধ্যায় আমরা ২জন ওস্তাদ নিয়মিত বাসায় এসে পড়াতাম। মাত্র ৭১দিনে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে আমাদের অবাক করে দিয়েছে।
মাতা মোছা. নাসিমা আক্তার বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনায় সবার চাইতে ভিন্ন। ওর মোবাইল গেমসের আসক্তি নেই, তবে সাধারণ খেলাধুলায় পারদর্শী। এই বয়সে বই পড়ায় ব্যাপক পটু। ধর্মীয় বই পড়া ও ধর্মীয় ইতিহাস জানার প্রতি ওর আগ্রহ বেশি। পিতা মো. নজরুল ইসলাম নলিন বলেন, আমার ছেলে যেহেতু দ্রুততম সময় মাত্র ৭১দিনে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করতে পেরেছে, ভবিষ্যতে একজন বড় মাপের আলেম বানানোর ইচ্ছা রয়েছে।
এ এস/
Discussion about this post