মাত্র সাত মাসে কোরআনের হাফেজ হলো আনিষা আক্তার নামের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। হাফেজ হওয়ার পর তাকে সম্মান জানাতে দেওয়া হয়েছে রাজকীয় বিদায়। সে জেলার সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামের আলিউর রহমানের মেয়ে।
হাফেজ আনিষা আক্তারকে বিদায় জানাতে সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার টুনিরহাট ঘটবর এলাকার তা’লিমুল কোরআন বালিকা মাদ্রাসায় সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর প্রথম শিক্ষার্থী হিসেবে হাফেজ হয়েছে এই শিক্ষার্থী।
কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাদরাসাটির সভাপতি তোফায়েল প্রধান, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মো. মনিরুল মোল্লা ও সদর উপজেলার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আবু সাইদসহ শিক্ষক ও মুসল্লিদের উপস্থিতিতে হাফেজ আনিষা আক্তারকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তার এ সাফল্যে খুশি মাদ্রাসার শিক্ষক ও অভিভাবকরা। সে একটি দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
অনুষ্ঠান শেষে একটি সুসজ্জিত প্রাইভেটকারে করে মোটরসাইকেল বহরের মাধ্যমে তাকে রাজকীয় সম্মানে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মো. মনিরুল মোল্লা ঢাকা পোস্টকে জানান, ২০২৩ সালের শেষের দিকে সদর উপজেলার টুনিরহাট ঘটবর এলাকার তা’লিমুল কোরআন বালিকা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাত মাস আগে মাদ্রাসায় হেফজ শাখায় ভর্তি হয় আনিষা আক্তার। প্রখর মেধাবী হওয়ায় সাত মাসেই পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মুখস্থ করে হাফেজ হয়ে ওঠে। বর্তমানে মাদ্রাসায় ৬৫-৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তার মধ্যে হেফজ শাখায় পড়ছে ৩৫ জন শিক্ষার্থী। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে আরও দুজন শিক্ষার্থী হেফজ সম্পন্ন করবে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মো. মনিরুল মোল্লা।
হাফেজ আনিষার বাবা আলিউর রহমান জানান, আমি খুবই খুশি যে আমার মেয়ে ৩০ পারা কোরআনের হাফেজ হয়েছে। আমার এক মেয়ে, দুই ছেলে। আনিষাই সবার বড়। সে দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত সাত মাস আগে তা’লিমুল কোরআন বালিকা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিল। মহান আল্লাহর ইচ্ছায় সে কোরআনের হাফেজ হয়েছে। এজন্য মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। একইসঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষকসহ সবার কাছে দোয়া চাই।
মাদ্রাসার সভাপতি ও কামাত কাজলদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান বলেন, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এখন যে মেয়েরাও পিছিয়ে নেই, তারাও বিভিন্ন দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। হাফেজ আনিষা একটি উদাহরণ। মাদ্রাসাটিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তারা নারীদের ইসলামিক শিক্ষা দিয়ে হাফেজ হিসেবে তৈরি করছে। আমরা হাফেজ আনিষার জন্য জন্য দোয়া করছি। সে যেন আরও কামিয়াবি হয়।
সূত্রঃ ঢাকা পোষ্ট
এম এইচ/
Discussion about this post