গেল বছর ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্পেনে অবৈধভাবে পৌঁছেছেন ৫৬ হাজার ৮৫২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী, যা আগের বছর ২০২২ সালের তুলনায় ৮৩ শতাংশ।স্পেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর আগমন ঘটেছিল ২০১৮ সালে। সে বছর ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ সাগর ও স্থলপথে গিয়েছিলেন দেশটিতে।
এই অভিবাসীদের প্রায় সবাই সেনেগাল থেকে নৌপথে আটলান্টিক সাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনে প্রবেশ করেছেন এবং তাদের অধিকাংশই প্রথম পা রেখেছেন আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ ক্যানারি আইল্যান্ডসের এল হিয়েরো দ্বীপে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে , ২০২৩ সালে ক্যানারি আইল্যান্ডসে পৌঁছেছেন মোট ৩৯ হাজার ৯১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী, যা শতকরা হিসেবে আগের বছর ২০২২ সালের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের পর ২০২৩ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক অভিবাসীর আগমণ দেখেছে স্পেন।
এদিকে, হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়মিত উপকূল ব্যবহার করতে থাকায় আন্তর্জাতিকভাবে চাপে পড়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। অবৈধ অভিবাসীদের ঢল বন্ধ করতে গত নভেম্বরে জরুরি অবস্থাও জারি করেছে সেনেগালের সরকার।
ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমণের হিসেবে শীর্ষে ছিল ইতালি। সদ্য শেষ হওয়া বছরটিতে এশিয়া ও আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলো থেকে ইতালিতে পৌঁছেছেন মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। আগের বছর ২০২২ সালের তুলনায় এই হার ৫০ শতাংশ বেশি।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন এবং তৃতীয়তে রয়েছে ভূমধ্যসাগরের অপর দেশ গ্রিস। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৪৮ হাজার ৫৫৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী গিয়েছেন গ্রিসে।
এস আর/
Discussion about this post