প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আগামী ৮ জুলাই চীন যাচ্ছেন। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। পররাষ্ট্র সচিব আরও জানান, এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘোষণা আসতে পারে।
পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে বিনিয়োগ, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হবে। তবে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কোনো আলোচনা হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী ৮ জুলাই চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছাবেন এবং ৯ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ১০ জুলাই তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং একই দিনে চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ঝাও লেজির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর সফরের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও থাকবে, যারা চীনা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পূর্বে, দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাওয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইতোমধ্যেই ঢাকা সফর করেছে। লিউ জিয়ানচাও জানান, চীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য প্রতীক্ষায় আছে এবং উভয় পক্ষই এই সফর সফল করতে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের বিষয়টি গত ২৮ জুন নিশ্চিত করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি সেদিন ঢাকা সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাওয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।
সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে গঙ্গা ও তিস্তার পানিবণ্টনও অন্তর্ভুক্ত। যদিও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পানিবণ্টন চুক্তির বিরোধিতা করেছেন।
এস এম/
Discussion about this post